বিড়াল মানুষের বাসাবাড়িতে থাকে কিংবা অনেকে আছে যারা বিড়াল পোষ্য করতে ভালো বাসে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে বিড়াল পালন করে। বিড়াল পালন করলে আমাদের যে শুধু সোওয়াব হবে তা নয় বরং এটি পালন করার ফলে আমাদের বাসাবাড়িতে খাবারের যত ময়লা আছে সব বিড়াল কেয়ে শেষ করে ফেলে। এছাড়া অনেক সময় ঘরে কিছু পোকামাকড় ঘুরে বেড়ায় কিন্তু বিড়াল থাকার ফলে সেগুলো চলে যায়
আরো পড়ুন : কেয়ামতের পূর্বে কাদের বানর বানানো হবে।
বিড়াল মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে বিভিন্নভাবে উপকার করে। বিড়ালের সংস্পর্শে থাকা বা তাদের আদর করা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোস হ্রাস করে। বিড়াল এমন একটি প্রাণী একটি মানুষের মনকে করে সতেজ। আপনার মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিড়ালের ভুমিকা অপরিসীম। এটি হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
স্ট্রোক এবং উদ্বেগ কমানো,বিড়ালকে আদর করা, তাদের সাথে সময় কাটানো বা তাদের পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া একটি শান্তিপূর্ণ অনুভূতি দেয়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং শারীরিক অবস্থা উন্নত করে। মানুষ যখন অতিরিক্ত চিন্তায় থাকে তাহলে যদি সে হাত বিড়ালের মাথার বুলিয়ে তাকে আদর করে তাহলে তার মানসিক শান্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুন : ভালো মুসলমানের পরিচয়
ব্যথা হ্রাসে সহায়তা,বিড়ালের পিউর শব্দ মিউ মিউ শারীরিক ব্যথা হ্রাস এবং পেশীর সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায় হতে পারে। এই শব্দ শুনে যেমন মাথার অতিরিক্ত চাপ কমে যায় তেমনিভাবে আমাদের শরীরের টিস্যু গুলো সতেজ হতে থাকে ফলে আপনার শরীরের ব্যথা হ্রাস হয়। এটি হাড় এবং টিস্যু পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করতে পারে।
বিড়ালের সাথে সময় কাটানো আনন্দ এবং সুখ তৈরি করে, যা শরীরে এন্ডোরফিন হরমন নিঃসরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। বিড়াল মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা সুস্থতার পথে সহায়তা করে।
বিড়াল মানুষের বাসাবাড়িতে থাকে, এদের দেখলে যেমন ভালো লাগে,তেমনি শান্তি লাগে,এগুলো আমাদের মানসিক ভারসাম্য, শরীরের উপর ওজন সারাদিনের ক্লান্তি, নিরাপদ ঘুম আমাদের শরীর কে ভালো করতে কোন অভাব রাখে না।
0 মন্তব্যসমূহ