Comment

শিঙ্গায় ফু দিবেন ইসরাফিল (আঃ)

আল্লাহ পাকের চার ফেরেস্তা ইসরাফিল মিকাইল জিবরাইল আজরাইল তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক ইসরাফিল আঃ কে সৃষ্টি করে,ইসরাফিল আঃ এর চারটি পাখা আছে আছে যেগুলো দিয়ে পুরো আকাশ মন্ডল ডেকে পেলা সম্ভব, যদি পুরো দুনিয়ায় তার শরীরে উপর রাখা হয় তাহলে তার শরীলের জন্য দুনিয়া দেখা যাবে না।


ইসরাফিল আঃ পুরো শরীর লোমে আবৃতি করা আছে,ইসরাফিল আঃ যে নিঃশ্বাস নেয় প্রডি নিঃশ্বাসে একটি করে ফেরেস্তা জন্মাতে থাকে,এই ফেরেশতা গুলো জন্মানোর সাথে সাথে আল্লাহ পাক জিকিরে লিপ্ত হয়ে, এই ফেরেতাগুলের আয়তন ইসরাফিল আঃ থেকেও অনেক ছোট্ট হয়।

আরো পড়ুন : আজরাইল ফেরেশতার দায়িত্ব 

যদিও সকল ফেরেস্তা দের সৃষ্টি করা হয় আল্লাহ পাকে আদেশ মানার জন্য, আল্লাহ পাক ফেরেস্তা দের যখন যেই আদেশ দেন, তখন তারা কোন কথা না বলে সঙ্গে সঙ্গে পালন করে,ইসরাফিল আঃ সবসময় আল্লাহ  তায়ালার জিকির ইবাদত করতে থাকে,ইসরাফিল আঃ কে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে কেয়ামত আনার জন্য সৃষ্টি করেছে, তাই তিনি সবসময় বসে থাকে কখন আল্লাহ তায়ালা তাকে আদেশ দিবেন সিঙ্গায় ফু দেওয়ার জন্য,


নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসরাফিল আঃ আঃ যখন সিঙ্গায় ফু দিবেন, তখন দুনিয়াতে এক মুহুর্তের মধ্যে কেয়ামত সংগঠিত হবে। হাদিস ইসরাফিল (আ.) শিঙ্গায় ফুঁ দানকারী হিসেবেই পরিচিত। ইসরাফিল আঃ সিঙ্গায় দুটি ফু দিবেন, এমন সময় যারা খাবার মুখে নিয়েছে তারা তা গিলে খেতে পারবে যারা দাড়িয়ে আছে তারা বসতে পারবে, কেয়ামতের দিন এমন ভহাবয় অবস্থা সৃষ্টি হবে, সবাই জীবন বাঁচাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে, 


ইসরাফিল আঃ সিঙ্গায় ফু দিলেও তার কাজ মুল কাজ হলো, তিনি আরশ বহন কারীদের মধ্যে একজন্য। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকেও এমনটি বোঝা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে, ফলে যাদের আল্লাহ ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সবাই মূর্ছিত হয়ে পড়বে। অতঃপর আবার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে, তখনই তারা দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকবে।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৬৮)


ইসরাফিল আঃ আরশের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর চোখ দুটো উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। কখন আল্লাহ তায়ালার পক্ষে থেকে আদেশ আসে সিঙ্গায় ফু দেওয়ার জন্য

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ