মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ খাবার খেতে হয়, একটি বাচ্চা দুনিয়াতে আগ্মন করার সাথে সাথে তার মায়ের ধুদ পান করে,দুই বছর যাবত এই ভাবে চলতে থাকে এরপর নবজাতক শিশু আল্লাহ পাকের অনুগ্রহে দুনিয়ার যাবতীয় আহার গ্রহণ করে,বর্ণিত আছে কোন মানুষ দুনিয়াতে আসার ৪০ বছর আগে আল্লাহ পাক তার রিজিক লিখে রাখে,আর মানুষের এই আহার খাদ্য উৎপাদন সকল কিছু মিকাইল ফেরেশতা করে থাকে।
আরো পড়ুন : কষ্টের দোয়া ফা ইন্নামা আল উসরি-উইসরা
মিকাইল (আঃ) এর শরীরিক গঠন।
মিকাইল ফেরেশতা দেখতে সারা শরীর লোমে আবৃতি করা করা তার শরীরের প্রত্যেকটি লোমে ১০ লক্ষ চোখ ও ১০ লক্ষ মুখ আছে,আল্লাহর শাস্তি হতে ভয়ে মিকাইল আঃ সকল চোখ থেকে এক একটি পোটা থেকে একজন করে ফেরেস্তা জন্মা লাভ করে, এই সকল ফেরেস্তা মিকাইল আঃ উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ পাক অর্পণ করেছে সে সকল দায়িত্ব পালনে উক্ত ফেরেশতা সাহায্য করে থাকে। এই ফেরেশতা গণ মিকাইল নামে চিহ্নিত। যদিও তারা মিকাইল ফেরেশতা থেকে অনেক ক্ষুদ্র।
মিকাইল ফেরেশতার কাজ।
দুনিয়াতে যত বৃষ্টি হয়, খাদ্য উৎপাদন এবং মানুষের যতটুকু রিজিক আছে ততটুকু সে পাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা মিকাইল আঃ দায়িত্ব, যদিও এখানে আমরা সামান্য টুকু উল্লেখ করছি, কিন্তু প্রকৃতি পক্ষে এই দায়িত্ব বর্ণনা করা শেষ হবে না,একটি সারাদিন কতটুকু খাবার খাবে,কতটুকু পানিপান করবে কতটুকু সে পাবে, যাবতীয় সব কিছু দেখা শোনা করা মিকাইল আঃ দায়িত্ব।
আরো পড়ুন : বিড়াল কেন পছন্দ করবেন
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন, মিকাইল ফেরেশতা উপর যত মানুষের খাবার নির্ধারণ করা আছে সে ততটুকুই খেতে পারবে এর বাহিরে একটি দানাও খেতে পারবে না,তদরুপ কোন যদি সে ইচ্ছা তার রিজিক বাহির একটি দানাওখেতে পারবেনা।
কোন মানুষ সারা জীবন কোটি কোটি টাকা ইনকাম করল কিন্তু তার খাওয়া তার রিজিকে যতটুকু থাকবে সে ততটুকুই খেতে পারবে তার বাহিরে খাওয়া সম্ভব নয়।
0 মন্তব্যসমূহ