বন্যা যা প্রকৃতির বিপর্যয়ের নেমে আসে । বন্যা মানুষের জীবনের জন্য বিপজ্জনক নিয়ে আসে। বন্যা মূলত তখনই ঘটে যখন কোন নির্দিষ্ট এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাএাই বৃষ্টি হয়ে থাকে হয়, যা সাধারণত নদী, খাল, কিংবা জলাশয় থেকে ভরারপর এর থেকে বেরিয়ে আসে। তবে বন্যার কারণগুলি বিভিন্ন হতে পারে। এই খানে আমরা বাংলাদেশের বন্যা, সাধারণ বন্যা ও এর থেকে বাঁচার উপায় জানবো।
আরো পড়ুন : বৃষ্টির পানির উপকার। কুরআন ও হাদিস
অতিবৃষ্টি কেন হয়।
বন্যার সবচেয়ে বড় প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত বৃষ্টি। যখন কোন এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, তখন নদী, খাল এবং জলাশয়গুলি অতিরিক্ত পানি ধারণ করতে পারে না। এই জন্য গ্রাম অঞ্চল কিংবা নিম্ন অঞ্চল গুলো পানিতে ডুবে যায় । বিশেষ করে যদি কোন এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হয়, তবে সেই এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে।
নদী বা জলাশয়ের উপচে পড়া।
বর্ষাকালে বৃষ্টির সময় নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পায়, যা বন্যার কারণ। অনেক সময় বরফ গলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নদীর পানি আশেপাশের গ্রাম বা শহরে ঢুকে যায়। এই ধরনের বন্যা সাধারণত প্রাকৃতিক কারণে ঘটে।
কেয়ামতের পূর্বে কাদের বানর বানানো হবে।
বাঁধ খুলে দিলে।
বাংলাদেশে পানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এরপর বাংলাদেশে বছরের পর বছর বন্যা হয় এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ভারত। ভারতের অঙ্গরাজ্য গুলোতে যে সুইস গেট খুলে দেওয়া হয় তার কারণে অতিরিক্ত পানির চাপ নিতে না পেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডুবে যায়। অতিথ থেকে ভারত যতবার বাধঁ খুলে দেয় ততবারই বন্যার শিকার হয় বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তন।
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বন্যার একটি প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন একদিকে যেমন হচ্ছে তার সাথে বন্যাও হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি এবং ঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে, যা বন্যার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অতিবৃষ্টি, নদীর উপচে পড়া, বাঁধ ভাঙা, বনভূমির ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন হয় । তাই বন্যা প্রতিরোধে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও, তার ক্ষতি কমিয়ে আনা অবশ্যই সম্ভব।
বন্যা থেকে বাঁচার উপায়।
প্রথমেই জানতে হবে আপনার বাসস্থান বা কর্মস্থল বন্যাপ্রবণ এলাকায় কি না। স্থানীয় প্রশাসন বা আবহাওয়া অফিসের পরামর্শ নিন। একটি জরুরি কিট প্রস্তুত রাখুন, যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানীয় জল, শুকনো খাবার, টর্চলাইট নিতে পারেন।প্রথমিক চিকিৎসা এবং জরুরি সহায়তা প্রদানের প্রশিক্ষণ দিন।
বন্যার সময় পরিবার কোথায় একত্রিত হবে, কোথায় আশ্রয় নেবে। এগুলো সম্পর্কে আগে থেকে পরিকল্পনা করুন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। বন্যার সময় যত দ্রুত সম্ভব উঁচু স্থানে বা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
বন্যা থেকে বাঁচার দোয়া।
বেশি বৃষ্টি হলে বিশ্বনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি পড়তেন ;আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা,
অর্থ ; আল্লাহ তুমি আমাদের আসেপাশে বৃষ্টি বর্ষণ করো,আমাদের উপর নয়,
মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি আরো পড়তেন ; আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআহ।
অর্থ ; হে আল্লাহ তুমি ভালো বৃষ্টি বর্ষণ কর।
0 মন্তব্যসমূহ