মানুষ জীবনের শুরু থেকে মা বাবার কাছে আদরে বড় হতে থাকে তাই তারা দুনিয়ার কষ্টগুলো বুঝতে পারে না। বান্দা যখন অনবরত কষ্ট পেতে থাকে সে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকে ফলে আল্লাহ পাক তার দোয়া কবুল করে, কিন্তু যদি দোয়া কবুলে লাগে তাহলে সে নিরাশ হয়ে পড়ে। আর পবিত্র কুরআনের এই দোয়া আপনাকে শেখায় নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।
কোরআনে কি বলা হয়েছে।
"ফা ইন্না মা’আল উসরি ইউসরা" যা কুরআন শরীফের সুরা আল-ইনশিরাহ (৯৪:৬) একটি আয়াত। এর বাংলা অনুবাদ হলো: "নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি।" এই আয়াতটি মুসলিম জীবনে এক মহামূল্যবান শিক্ষা দিয়ে যায়, যা আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকে দৃঢ়তর করে।
কেয়ামতের পূর্বে কাদের বানর বানানো হবে।
"ফা ইন্না মা’আল উসরি ইউসরা" দোয়াটি মুমিনের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের জীবনের কঠিন সময়গুলিতে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থার এবং ধৈর্য্য ধারণা করার ক্ষমতা দেয়। মানুষ যখন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে সান্ত্বনা দেন যে, কঠিন সময়ে কষ্টের সঙ্গে করেছে প্রশান্তি।
আরো পড়ুন : মিকাইল ফেরেশতার কাজ ও দায়িত্ব
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, জীবনের প্রতিটি কঠিন সময়ের পর সহজতা আসে। মানুষ এই দুনিয়াতে বাঁচতে হলে কষ্ট করতে হবে,আর এর সাথে আল্লাহ পাক আমাদের স্বস্তি আছে । এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মেহেরবানি কতটা বেশি তা বোঝানো হয়েছে। দুনিয়া কষ্ট থাকা মুমিন ব্যাক্তি বুঝে আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ আমাদের বিপদ দুর করবে না।
আল্লাহর প্রতি ভরসা।
আয়াতটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কঠিন সময়ের পর আল্লাহ তাআলা অবশ্যই একটি পথ বের করবেন। যেমন ধরুন, নবী মুসা (আঃ) এর জীবনে অনেক কঠিন পরীক্ষা এসেছিল, কিন্তু আল্লাহ তাকে সব সময় রক্ষা করেছেন এবং পথ দেখিয়েছেন। এই দোয়াটি সেই কঠিন সময়গুলিতে আমাদেরকে দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে উৎসাহিত করে।
এই দোয়াটি মুসলিমদেরকে মানসিক শান্তি ও সান্ত্বনা প্রদান করে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি তাঁর রহমত প্রদর্শন করেন, তাই কঠিন সময়গুলি আমাদের জন্য এক ধরনের পরীক্ষার অংশ, যার মাধ্যমে আমরা ধৈর্য ধারণ করি এবং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহর সাহায্য সব সময় আমাদের সাথে থাকে, আমরা যদি তাঁর উপর বিশ্বাস রাখি এবং তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
আল্লাহর প্রতি ধৈর্য্য ধারণা করা।
"ফা ইন্না মা’আল উসরি ইউসরা" কেবল দোয়া নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। প্রতিটি সমস্যার মুখোমুখি হলে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ পাকের উপর ধৈর্য্য ধারণা করা, বিশ্বাস করি যে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আমাদের সহজীকরণ দেবেন। এই দোয়াটি আমাদেরকে নৈতিকভাবে এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। আমাদের খেলায় রাখতে হবে আমরা যদি আল্লাহ পাকের উপর বিশ্বাস করি তাহলে তিনি আমাদের নিরাশ কবে না।
আয়াতটির একটি বড় শিক্ষা হলো ধৈর্য। এই আয়াত আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ধৈর্যের ফলাফল সব সময় মিষ্টি হয়। আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের ভালবাসেন এবং তাদেরকে অসীম পুরস্কার প্রদান করেন। তাই, "ফা ইন্না মা’আল উসরি ইউসরা" আয়াতটি আমাদেরকে সব সময় ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে নির্দেশ করে।
"ফা ইন্না মা’আল উসরি ইউসরা" আয়াতটি আমাদের জীবনের কঠিন সময়গুলিতে আশা, বিশ্বাস, এবং ধৈর্য্য এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনে সাহায্য করে। এটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ তাআলা আমাদের সবসময় দেখছেন এবং কঠিন সময়ের পরে আমাদের জন্য সহজীকরণ প্রস্তুত রাখেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার জন্য আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে সাহায্য করে।
0 মন্তব্যসমূহ