বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাতে সোয়ার আগে সাতটি আমল করতে বলেছেন। যে আমল গুলো ফজিলত পূর্ণ এবং ঈমান বৃদ্ধির মাধ্যম ও হতে পারে। এছাড়া এই আমলের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার হেফাজতে থাকবো।
- অজুর উপকারীতা।
নামাজের আগে অজু করতে হয় এটা আমরা কমবেশ সবাই জানি। রাসুল (সাঃ) বলছেন সোয়ার অজু করার জন্য। কেউ যখন সোয়ার পুর্বে অজু করে তাহলে সে পবিত্র অবস্থায় বিদ্যামান থাকে। যখন কেউ অজু করে সুয়ে পড়ে আল্লাহ পাক তার জন্য একজন ফেরেস্তা নিয়োগ করে।
অজু করার পর দোয়া করব না এটা হতেই পারে না। আল্লাহর রাসুল অজুর পর দোয়া করার কথাও বলেছেন, যেমন - সোয়ার পুর্ব আমরা জিকির আরো অন্য দোয়া ও আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নামাজের উপকারীতা
- আয়াতুল কুরসি ফজিলত
আয়াতুল কুরসি যা কিনা প্রতি ফরজ নামাজের পর পড়ার ফজিলত অপরিসীম। কেউ যখন রাতে আয়াতুল কুরসি পড়ে সুয়ে যায় সে আল্লাহ পাক তার জান মালের হেফাজত করে এবং কেউ তার কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে। হাদিসে এই ভাবে বর্ণিত হয়েছে একটি লোকের মাল শয়তান অনেক বার চুরি করতে আসলে সে লোক কে পরে শয়তান বলে তুমি আয়াতুল কুরসি পাঠ কর এতে তোমার জান মালের কোন ক্ষতি হবে না।
- ঘুমানোর আগে কোন সুরা পড়তে হয়।
সুরা বাকারা শেষ দুটি আয়াত পড়লে রাতের বেলায় ভয়ভীত হবে না। হাদিসে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে - যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সুরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এ দুটিই যথেষ্ট। (বুখারি)।
সুরা মুলক যখন কোন ব্যক্তি রাতের বেলায় পাঠ করে সুয়ে পড়ে তার জন্য কবর আজাব মাফ করবে আল্লাহ তায়ালা। কেউ যদি রাতে এই সুরা পাঠ করবে কবরের আজাব যদি ক্ষমা হয় তাহলে তার জন্য হাশরের ময়দান সহজ হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুন : মন খারাপ থাকলে যে দোয়া পড়তে হয়
সুরা নাস, সুরা ফালাক,সুরা ইখলাস যদি কেউ এই সূরা পাঠ করে তবে তাকে কোন খারাপ বস্তু কিংবা জিন তাকে ছুতে পারবে না। এছাড়া এই সুরা গুলো সকল কিছুর জন্য যথেষ্ট।
আমরা প্রতিদিন যে পাপ কাজ করছি সেগুলোর মধ্যে অনেক শিরক এর মতো জঘন্য পাপও করে ফেলে, কিন্তু আমরা জানার কারণে এই পাপ করে থাকি, এই আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি আমাদের কে সুরা কাফিরুন পাঠ করা নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ যদি এই সুরা পাঠ করে তাহলে সে শিরক থেকে বাঁচবে।
- সোয়ার পুর্ব জিকির করা।
আল্লাহর নবী প্রত্যেক নামাজের পর জিকির পড়তে বলেছেন সেগুলো হলো সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার,আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার,আল্লাহু আকবর ৩৪ বার পড়তে বলেছেন, শুধু যে নামাজের পর পড়বেন তা নয়,এগুলো রাতে সোয়ার আগে পড়বেন।
0 মন্তব্যসমূহ